আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার কাজ। এরই মধ্যে ইক্রেনের নিরাপত্তার জন্য মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক বরাদ্দকৃত সহায়তা আটকে রাখায় আইনি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই অভিযোগ তুলেছে সরকারি জবাবদিহি অফিস (জিএও)। সংস্থাটি কংগ্রেসের নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করে।
জিএও’র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদায়ী বছরে ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য অর্থ সহায়তা বরাদ্দ করে কংগ্রেস। তবে সে বরাদ্দ দুই মাস আটকে রাখে হোয়াইট হাউজ। ১৯৭৪ সালের ‘কংগ্রেস বাজেট এবং সমীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইন’ হোয়াইট হাউজের পাশ করা নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন না। আর আটকে দিলে অবশ্যই কংগ্রেসকে অবহিত করতে হবে, তবে তা করেনি হোয়াইট হাউজ।
দেশটির আইন অনুযাই ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে জবাবদিহি অফিস। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিন্ধান্ত নেয়নি জিএও। ট্রাম্পের আগে এমন আইন একাধিক প্রেসিডেন্ট এমন আইন লঙ্ঘন করেছেন। তবে জিএও শুধু একবার মামলা করেছেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আসায় ব্যাপক উচ্ছ্বসিত ডেমোক্র্যাট দল। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের দাবি তাদের প্রেসিডেন্ট কোন অপরাধ করেননি।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির ২০১৮ সালের জুলাই মাসে একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।