এক চিকিৎসক দিয়ে চলছে খুলনায় ৫০ বছরের পুরনো হাসপাতাল
নানা সংকটে কোনোমতে চলছে ডায়রিয়া হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত খুলনা বিভাগের একমাত্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। ২০ শয্যার হাসপাতালটিতে তিনটি চিকিৎসক পদ থাকলেও আছেন একজন। অন্য পদেও জনবল সংকট। ৫০ বছরের বেশি পুরানো হাসপাতাল ভবনটিও জরাজীর্ণ।
সাম্প্রতিক সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো খুলনায়ও বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা নেই খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের।
জানা গেছে, হাসপাতালটিতে রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক, যিনি একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করেন। ৬ জন সিনিয়র নার্স পদের বিপরীতে রয়েছেন ৫ জন। ফলে ঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
সীমিত জনবলেই হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া, টিটেনাস, জলবসন্ত, হাম, জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালটি পরিচিত ডায়রিয়া হাসপাতাল হিসেবে।
খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. হবিবুর রহমান বলেন, এখানে শিশু রোগী আসে। তাদের দেখতে আমাদের কষ্টই হয়। যেহেতু শিশু বিশেষজ্ঞ নেই। যদি এখানে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া যায় তাহলে ভালো সেবা দেওয়া যেত।
চিকিৎসক বৃদ্ধিসহ, হাসপাতাল ভবনের সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে জানিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ।
তিনি বলেন, এই হাসপাতালটি খুলনা সিভিল সার্জনের আওতাধীন। ৪২তম বিসিএসে যে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে, প্রয়োজন হলে উপজেলা থেকে কিছু চিকিৎসক ওখানে পদায়ন করার জন্য সিভিল সার্জনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, আর মার্চ মাসেই চিকিৎসা নিয়েছেন তিন শতাধিক রোগী।
শিক্ষা অপরাধ স্বাস্থ্য অর্থনীতি রাজনীতি আন্তর্জাতিক খেলাধুলা লাইফস্টাইল সারাদেশ