কলারোয়ায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৪
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক মুদি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলার উত্তর দিগং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম নিজাউদ্দিন (৬২)। তাঁর বাড়ি উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচতর গ্রামে। তিনি কাজীরহাট বাজারে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে মুদি ব্যবসা করে আসছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাজীরহাট বাজারের কয়েক জন ব্যবসায়ীর ভাষ্য, নিজামউদ্দীনের সঙ্গে হেলাতল ইউনিয়নের বাসিন্দা এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজামউদ্দীন কাজীরহাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই নারীর বাড়িতে যায়। তাঁর সাইকেলটি বাড়ির বাইরে রাখা ছিল। এ সময় প্রবাসীর ছেলে তাঁকে আটক করে মারধর করে। এতে অচেতন হয়ে নিজামউদ্দীনের মৃত্যু হয়।
কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্য আসাদুজ্জামান বলেন, রাত ১টার দিকে প্রবাসীর ছেলে তাঁকে মুঠোফেনে জানান—চোর সন্দেহে তিনি একজনকে আটক করেছেন।
দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
নিহত নিজামউদ্দীনের ছেলে গোলাম রসূল বলছেন, তাঁর বাবা কাজীরহাট বাজারে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। দিন শেষে রাতে তিনি ব্যবসার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। পথে এক প্রবাসীর ছেলেসহ কয়েকজন টাকা ছিনতাই করে নিয়ে তাঁর বাবাকে মারপিট করে হত্যা করেছেন। তিনি তাঁর বাবা হত্যার বিচার চান।
এদিকে কলারোয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল গভীর রাতে এক প্রবাসীর বাড়িতে যান নিজামউদ্দীন। তখন ওই প্রবাসীর ছেলে তাঁকে দেখতে পেয়ে তাড়া দেয়। তিনি পালানোর সময় পড়ে গিয়ে মরা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে।
পরিদর্শক হাফিজুর রহমান আরও বলেন, এ ঘটনায় উত্তর দিগং গ্রামের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি।
ব্যক্তি ব্যক্তি