চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।
সোমবার ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমুর নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নায়িকা সাদিয়া মির্জা বলেন, কেরানীগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন শিমু আপার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। শিমু আপা রবিবার সকাল ১০টা থেকে আজ পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন।
এরই মধ্যে কে এই নায়িকা শিমু জানতে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন অনেকে।
জানা গেছে, প্রথমসারির কোনো অভিনেত্রী না হলেও দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শিমু। ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। শুধু রূপালি পর্দায় নয়, ছোট পর্দায়ও শিমুর পদাচরণ ছিল। বহু নাটকে দেখা গেছে তাকে।
মৌসুমি, শাবনূর, পূর্ণিমাদের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী না হলেও শিমু অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় সব অভিনেতার বিপরীতে।
চিত্রনায়ক রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানের বিপরীতে স্ক্রিন শেয়ার করেন এ নায়িকা ৷
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত বর্তমান সিনেমা দিয়ে ঢাকাই ছবিতে অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। শুধু কাজী হায়াতই নয়, বাংলাদেশের অনেক গুণী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন শিমু।
সে তালিকায় রয়েছেন চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এজে রানা, শরিফুদ্দিন খান দীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন।
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
শিমু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন। মিশা-জায়েদের সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ সদস্যের মধ্যে একজন তিনি। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়।
শিমুর ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বিপণন বিভাগে কাজ করার পাশাপাশি একটি প্রোডাকশন হাউস চালাতেন এ অভিনেত্রী।
এদিকে শিমু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ঢাকাই ছবির চিত্রতারকা জায়েদ খানকে জড়িয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
যদিও নিহত শিমুর ভাই বোনের হত্যায় তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেলকেই দায়ী করছেন।
জায়েদ খানের দাবি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঘটনাটিকে পুঁজি করছে এবং তাকে শিমু হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোরেই গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে জায়েদ খান জানান, ঘটনার ১২ দিন আগে শিমুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে বলা হলেও গত দুই বছরে তার সঙ্গে শিমুর কোনো যোগাযোগ ছিল না।
শিক্ষা অপরাধ স্বাস্থ্য অর্থনীতি রাজনীতি আন্তর্জাতিক খেলাধুলা লাইফস্টাইল সারাদেশ