সাইফুল খান,সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সাংসদ, প্রশাসন ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সৌদি প্রবাসী শাকিল রানার শেষ রক্ষা হলো না। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে চৈতী গ্রুপের অবৈধ দখলদারিত্ব আবারও চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
কান্নাকাটি করা ফেইসবুক লাইভ সোনারগাঁজুড়ে টক অব দ্যা টাউন এ পরিনত হয়েছে।
জানাযায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় টিপুরদী এলাকার সৌদি প্রবাসী শাকিল রানা তার নিজ বাড়ি ঘর চৈতী গ্রুপের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে ঠেকাতে স্থানীয় সাংসদের হস্তক্ষেপ নিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কান্নজরিত কন্ঠে ফেইসবুক লাইবে এসে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনার পর টনকনড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। গত ২২ জুন ২০২০ ইউএনও সাঈদুল ইসলাম সরেজমিনে পরিদর্শন করে চৈতী গ্রুপের অবৈধ দখলদারিত্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকে ফের অবৈধভাবে জোরপূর্বকভাবে প্রবাসীর যায়গা দখল করে ডাইংয়ের দূষিত পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ নির্মাণ করছেন চৈতী গ্রুপের ভারাটিয়া সন্ত্রসী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোশারফের নেতৃত্বে।
এলাকাবাসী জানায়, আমাদের এলাকায় কথিত আছে ” উপরে আল্লাহ নিচে কালাম সাহেব, মাঝে আর কিছু নাই “।
চৈতির মালিক বিএনপি নেতা কালাম সাহেব আ’লীগ আমলেই এতো শক্তি দেখায় আর যদি বিএনপি সরকার আসলেতো আমাদের এলাকা ছেড়ে দিতে হবে। দীর্ঘদিন যাবৎ চৈতির ডায়িংয়ের দূষিত পানি ফেলে ঐ এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করছেন, ফলে এলাকাবাসী বহুবার প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, স্মারক লিপি, লিখিত অভিযোগ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না দাবি ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগী প্রবাসী শাকিল রানার স্ত্রী সাদিয়া নাসরিন বলেন, আমর শশুর, স্বামী ও দেবর তারা সবাই বিদেশে আছে এই সুযোগে আমাদের জায়গা দখল করে ডাইং এর পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ।
প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কোম্পানির পালিত ভাড়া করা সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়ে এবং বাধা অমান্য করে দুটি ভেকু দিয়ে ডাইং এর পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ করে যাচ্ছে।
চৈতি কম্পোজিট এর ডি জিএম বদরুল আলম বলেন, আমরা অন্য কারো যায়গাতে কাজ করছি না। কোম্পানির কিনা যায়গায় কাজ করছি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীর জমিতে জোরপূর্বক ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেই অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।