
সয়াবিন তেল মজুত অবস্থায় পাওয়ায় জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক ফরিদপুর
ফরিদপুরে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গুদামে বোতলজাত ৪ হাজার লিটার ও খোলা ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল মজুত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এ সময় তেল গুদামজাত করার দায়ে ওই ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ দিনের জন্য ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শহরের শরীয়তুল্লাহ বাজার ও শোভারামপুর এলাকায় এ অভিযান চালনো হয়। পরে জব্দ করা তেল ন্যায্যমূল্যে এলাকাবাসীর কাছে বিক্রি করা হয়।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ, জ্যেষ্ঠ জেলা বিপণন কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন ও জেলা সেনিটারি পরিদর্শক বজলুর রশিদের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর শহরের রঘুনন্দনপুর হাউজিং এলাকার কানাইলাল পোদ্দারের (৪৫) শরীয়তুল্লা বাজারে সুবল স্টোর নামের একটি মুদি দোকান রয়েছে। তিনি শোভারামপুর এলাকার জনৈক কালীপদ সাহার বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেটিকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করেন।

অভিযানে অংশ নেওয়া জ্যেষ্ঠ জেলা বিপণন কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সুবল স্টোরের গুদামে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত রয়েছে। এরপর ওই গুদামে অভিযান চালাতে গেলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মালিক কানাইলাল পোদ্দারকে ডেকে আনা হলে তিনি সয়াবিন তেল মজুত করার কথা স্বীকার করেন। পরে ইউএনও লিটন ঢালীর উপস্থিতিতে গুদাম খুলে ১ লিটার, ২ লিটার, ৫ লিটার ও ৮ লিটারের বোতলজাত ৪ হাজার লিটার তেল এবং ৫টি ব্যারেলে ৮০০ লিটার খোলা তেল পাওয়া যায়। পরে বোতলজাত তেল গায়ের মূল্যে ৫ লিটার ৭৬০ টাকা এবং ৮ লিটার ১ হাজার ২৫৬ টাকা দরে এলাকাবাসীর কাছে বিক্রি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার আইনের ৪০ ও ৪৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে ওই দোকানটি ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই গরমে জাম্বুরা কেন খাবেন